সত্য ও জবাবদিহিতা কমিশনকে (ট্রুথ কমিশন) অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল অনুমতির আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশের পর রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. আসাদুজ্জামান জানান, ট্রুথ কমিশন অবৈধ এবং ওই কমিশনে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের দায়মুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট রায় দিয়েছিলেন। আপিল অনুমতির আবেদন খারিজ হওয়ায় হাইকোর্টের রায় বহাল থাকল। ট্রুথ কমিশনে দায়মুক্তদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যবস্থা নিতে পারবে বলে জানান তিনি।
২০০৮ সালের ৮ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ‘স্বতঃপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অধ্যাদেশ-২০০৮’ জারি করে। এর আলোকে গঠিত ট্রুথ কমিশন ওই বছরের ৩ আগস্ট থেকে কার্যক্রম শুরু করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৮ সালের ২৫ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আদিলুর রহমান খান, বেসরকারি সংস্থা উবিনীগের নির্বাহী পরিচালক ফরিদা আক্তার, দীপু মনি (বর্তমানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী) ও মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন যৌথভাবে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০০৮ সালের ১৩ নভেম্বর হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশ অধ্যাদেশ-২০০৮ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। রায়ে ট্রুথ কমিশন গঠন এবং ট্রুথ কমিশন গঠনের পর এর কার্যক্রমও অবৈধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর ট্রুথ কমিশন থেকে ‘দায়মুক্তি’ পাওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্কালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর আহমেদসহ আরও কয়েকজন গত বছর লিভ টু আপিল করেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের জানুয়ারির শুরুতে সরকার ট্রুথ কমিশন বিলুপ্ত করে।
Form: prothom -alo 16 may.
No comments:
Post a Comment